শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী পাঠান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান আর নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

তার মৃত্যুতে জন্মস্থান মাধবপুরসহ পুরো জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় হবিগঞ্জ জেলা বার প্রাঙ্গণে প্রথম নামাজে জানাজা , সকাল ১১ টায় মাধবপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা এবং মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

নিহতের পারিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করতে ভারতের দেরাদুন হতে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন মোহাম্মদ আলী পাঠান। তিনি ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৪ সাল পর্যন্ত জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ছিলেন।

১৯৫০ সালের ৩০ জুন জেলার মাধবপুর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শহীদ তাহিদ হোসেন পাঠান, মাতা মরহুমা সুলতানা বেগম। তিনি কাটিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীতে বৃত্তি প্রাপ্ত ও মাদাহরি লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে বি.কম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি একাধারে মাধবপুর থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক, মাধবপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, হবিগঞ্জ কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের পরিচালক ছিলেন। তিনি মাধবপুর ক্ষেতে পানি শ্যামল প্রকল্পে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। ব্যক্তি জীবনে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ,৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com